বুধবার, ১৩ জুন, ২০১২

ভালবাসা দিবসে অন্যরকম ভালবাসা।


১.
আমার আশেপাশের মানুষগুলো দেখে আমার খুবই মায়া হয়, করুণাও বলতে পারেনসবার সুখী হওয়ার জন্য কি আপ্রাণ চেষ্টা! উইল স্মিথের অভিনয় করা সত্য কাহিনী নিয়ে নির্মিত "pursuit of happyness(বানানটা এরকমই)" এর কথা মনে পড়েসেখানে উইল স্মিথ প্রশ্ন করে কেন মানুষের চিরায়ত অধিকারের মধ্যে লাইফ, লিবার্টি এবং পারসুট অফ হ্যাপিনেসের কথা বলা হয়েছে? শুধুই হ্যাপিনেসের কথা বলা হয়নি, পারসুট অফ হ্যাপিনেস! কারন মানুষ কোনদিন সুখ পায়না, সে সুখকে ধাওয়া করেAll his life, he pursues happiness, never quite being able to get hold of it. Happiness is an illusion to be pursued, never to be enjoyed!

২.
আর মানুষের সেই সুখ পাওয়ার জন্য কি আপ্রাণ চেষ্টাসেই "পারসুট" শুরু হয় ছোটকাল থেকেআধুনিক বস্তুবাদী সমাজ তাকে সেই বাল্যকাল থেকে সুখের পিছনে ছোটায়সে সুখ কি সেটা বুঝে উঠার আগেই স্কুলে তাকে প্রথম হতে হবে, ভাল স্কুলে ভর্তি হতে হবে, ভাল রেজাল্ট করতে হবে, সবাইকে ডিংগিয়ে উপরে উঠতে হবে এই মন্ত্রণা দেয়া হয়বাড়ির কাজ আর পরীক্ষা, গৃহশিক্ষক আর গানের রেওয়াজ সব মিলেমিশে তার জীবনকে সেই যে একটা রেইস বানানোর চেষ্টা সেটা থেকে আর সারা জীবন তার মুক্তি নেইপন্ঞম শ্রেনীতে উঠেছ? তোমাকে বৃত্তি পেতে হবেবৃত্তি পেয়েছ? ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভাল স্কুলে ভর্তি হতে হবে, সেখানে প্রথম হতে হবে, অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি পেতে হবেএসএসসি-তে স্ট্যান্ড করতে হবে, এসএসসিতে ১০ম স্ট্যান্ড করলে এইসএসসি-তে তার থেকে আগে স্ট্যান্ড করতে হবেনাহলে মান-সম্মান থাকবেনা! এইসএসসি-তে স্ট্যান্ড করেছ? বুয়েট-মেডিক্যাল-ঢাবি বা অন্যকোন ভালজায়গায় ভর্তি হতে হবেতার ভাল করার সাথে শুধু তার মান-সম্মানই না, তার মা-বাবা-ভাই-বোন সবারই মান-সম্মান জড়িতপ্রতিবেশীর ছেলে বুয়েটে চান্স পেয়ে গেছে, তুমি না পেলে আমাদের মান-সম্মান থাকবে? সমাজে বুক-ফুলিয়ে হাটব কিভাবে? সে বুয়েটে চান্স পেল, তাকে ভাল ডিপার্টেমেন্টেও পেতে হবে, মেটালার্জি বা ওয়াটার রিসোর্সে পেলে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতে হবে ইলেক্ট্রিক্যাল, নাহয় মান-সম্মান থাকবেনা! সেখানে তাকে ভাল করতে হবে, এরপরে অমুক-তমুক যুক্তরাষ্ট্রে ফান্ডিং নিয়ে পড়তে এসেছে, তাকেও আসতে হবেজিআরই-র যন্ত্রণাময় ৫০০০ ওয়ার্ডের মুখস্তবিদ্যার তেলেসমাতি শুরু করজিআরই-টোফেল হইছে, এবার ভার্সিটি চুজ কর, প্রফেসরদের কাছে লিখ১০-১২ জায়গায় এপ্লাই কর, চান্স পেলে টিএশিপের টাকায় পড়ালেখা করসারা সপ্তাহে বার্গার আর পিৎজা খেয়ে ৫ বছর গাধার খাটুনি করে পিএইচডি কর, আবার এডভাইজার যদি বদ হয়, তাহলে লাইফ তো হেল! ডিজারটেশান টপিক অন্য কেউ করে ফেলছেনা তো সেটা নিয়ে টেনশানে ঘুম নাই

৩.
পিএইচডি করে দেখা যাচ্ছে চাকরি নাই! পোস্ট-ডক শুরু কর, তোমার বয়স ততদিন ৩০+তাড়াতাড়ি বিয়ে দাও, বিয়ের বয়স চলে যাচ্ছে! দেশের সেরা ছেলের জন্য সেরা মেয়ে খুঁজ, সেটা যে আবার কত ঝামেলার বিষয় সেটা যারা জানে তারাই জানেমেয়েকে হতে হবে সুন্দরী, শিক্ষিতা, ভাল বংশেরতার পরিবারের সবাইকে শিক্ষিতা হতে হবেমেয়ে খুঁজতে খুঁঝতে সবার জীবনই যখন ত্যক্ত-বিরক্ত তখন অনেক ছাড়-ছুড় দিয়ে মেয়ে পাওয়া গেল, জমজমাট করে বিয়ে হলমেয়েকে এমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার ঝামেলা শুরুসেখানে নিয়ে যাওয়া হল,তারপর কয়েকবছর পর ভাল চাকরি হলে, বাচ্চা নাওএইবার দুনিয়াতে বাচ্চা নিয়ে আসার পর তার লাইফ সাইকেল শুরুসেই শুরু থেকে আবার স্কুল.......আপনার এদিকে আস্তে আস্তে বয়স হচ্ছে, টেনিউর পাওয়া নিয়ে ঝামেলা, টেনিউর পাওয়ার পর ফান্ডিং আনা নিয়ে ঝামেলা, কয়দিন পর এমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে ঝামেলামর্টগেজ দিয়ে বাড়ি কিনলেন, সেটা শোধ করতে করতে বয়স হয়ে গেল ৬০অবসরের সময় হয়ে গেছেআপনার সন্তানের সফলতা আপনার সফলতা হয়ে গেলসে যদি সেভাবে সফল না হয়, আপনার সারাজীবনের সফলতা মিথ্যে মনে হবে তখন

৪.
এটা হচ্ছে বালের জীবন কুত্তাদের জীবন এর থেকে অনেক সুন্দরঅথচ এই বালের জীবনকেই আমরা মডেল হিসেবে নিয়েছিমোটামোটি উপরে উল্লেখিত জীবনই আমাদের কাছে স্বপ্নের জীবনদেখেন তার জীবনে কোন ব্যর্থতা নাই, সে যেরকম চাইছে সেরকম হইছেআমাদের বেশিরভাগেরই জীবন এরকম হয়না, তাই কত হাহুতাশঅনেকেই দুয়েক নাম্বারের জন্য স্ট্যান্ড করেনা, সেটা তারা সারা জীবন লালন করেঅনেকে বুয়েটে চান্স পাইনা, সেটা তার বুকে ঘা হয়ে থাকেঅনেকে বুয়েটে চান্স পেয়ে বাইরে ভাল স্কলারশিপ পাইনাসেটা তাকে তার ক্লাশমেটদের চেয়ে নীচু করে দেয়অনেকে ভিসা পাইনা, অনেকে পিএইচডি শেষে ভাল চাকরি পাইনা, অনেকে ট্যানিউর পাইনা, অনেকে ফান্ডিং-এর জন্য প্রজেক্ট আনতে পারেনা এনএসএফ থেকেআপনার বউ শয়তান হতে পারে, আপনার ছেলে বখাটে, লম্পট, সন্ত্রাসী, ড্রাগ-এডিক্ট হতে পারেআপনার মেয়ে বখাটের প্রেমে পড়তে পারে, ইয়াবাসেবী হতে পারেএগুলি সবই সম্ভব

৫.
তবুও কুত্তা যেমন সারাদিন খাবারের পিছনে দৌড়ায়, কিন্তু সেটা এক জায়গায় বসে খেতে পারেনা, আমরাও সেই কুত্তা-জীবন লিড করার জন্য সারাজীবনে দৌড়ের উপর আছিআমাদের আধুনিক মানুষের কোন স্থায়ী ঠিকানা নেইআমরা সবাই যাযাবরআমাদের কোন সমাজ নেই, কোন প্রতিবেশী নেই, কোন আত্মীয় নেইআমরা বর্ষার নদী দেখিনা, ছই-অলা নৌকায় বর্ষাযাপন আমাদের স্বপ্নে হানা দেয়নাআমাদের স্বপ্নে আসে কিভাবে কর্পোরেট-লেডারে আরো উপরে উঠব, আমাদের চিন্তায় থাকে কোন উপায়ে আরো বাড়ি করবআমাদের জ্যোৎস্না দেখার ইচ্ছে হয়না, জ্যোৎস্না কত সুন্দর সেসব আমাদের মাথায়ও থাকেনাআমাদের নদীতে সাতার কাটতে ইচ্ছে হয়না, পূর্ণিমার রাতে বন্ধু-বান্ধবরা মিলে জাড়িগানের আসর কি সেটাও আমরা জানিনাআমাদের চিঠি লিখতে ইচ্ছে হয়না, চিঠি কিভাবে লিখতে হয় সেটাও আমরা ভুলে গেছিআমাদের গ্রামের তাজা শাক খাওয়া হয়না, বিলের ঢেউ-খেলা ধানক্ষেত আমাদের মনে আকুলি-বিকুলি ছুটায়না বালের জীবনে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, এই বালের জীবনকেই সব মনে করে সেটার পিছনে ছুটতেছিতাহলে সুখ কোথায়? সুখের জন্য তাকাতে হবে একটু অন্যজায়গায়

৬.
রাস্তায় জ্যামে পড়লে যে হাড় জিরজিরে ছেঁড়া শার্ট গায়ে দিয়ে যে ১০-১২ বছরের ছেলেটা ফুল কিনার জন্য বা চকলেট কিনার জন্য আপনাকে বিরক্ত করে একটু তার দিকে তাকানতার জায়গায় আপনি হওয়াটা একদমই অসম্ভব ছিলনাতার সাথে আপনার পার্থক্য শুধু একটা জায়গায়সে দুর্ভাগ্যবশত ভুল মা-বাবার কাছে জন্মেছিলসে আপনার মা-বাবার ঘরে আর আপনি তার মা-বাবার ঘরে জন্মানো খুবই সম্ভব ছিলশুধু চান্সের খেলায় সে হেরে গিয়েছেসে যথার্থ সুযোগ পেলে আপনার থেকে মেধাবী হত হয়তহয়ত সে কোন বড় বিজ্ঞানী হত অথবা বড় কোন সাহিত্যিকহয়ত সে রবীন্দনাথকে ছাড়িয়ে যেতহয়ত সে নিয়ে আসতে ফিজিক্সে নোবেল প্রাইজঅথবা সে হয়ত সৎ নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ হতদেশকে সে হয়ত অন্য জায়গায় নিয়ে যেতএসবই হতে পারত সে যদি শিক্ষার সুযোগটা পেতআপনার বাসায় ৮-১০ বছরের যে কাজের মেয়েটা আছে তার দিকে একটু খেয়াল করে তাকানসকালে আপনি ঘুম থেকে উঠার অনেক আগেই তাকে ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘরে যেতে হয়, সারাদিন তার রান্নাঘরেই সময় কাটে, অনেক বকাঝকা বা মারও খেতে হয় অথচ সেও হতে পারত কোন বড় কবি বা টিউরিন-এওয়ার্ড পাওয়া কোন কম্পিউটার সায়েন্টিস্ট সে হতে পারতে ফিশার-এওয়ার্ড পাওয়া ম্যাথেমেটিশিয়ান অথবা সে হয়ত হত কোন বড় ইকনমিস্ট এসবই শুধু ভাগ্যের জন্য ভুল জায়গায় ভুল সময়ে ভুল মা-বাবার ঘরে জন্ম নেওয়ার জন্য হচ্ছেনা

৭.
আজ ভালবাসা দিবসে আপনার মুল্যবান সময় হয়ত আপনার প্রেমিকার পিছনে ব্যয় করবেনহয়ত তাকে গিফট কিনে দিবেনহয়ত তার সাথে মান-অভিমানের পসার বসাবেনভালবাসা আপনার জন্য হীরন্ময় হোক, তা আমিও চাইকিন্তু একটা অনুরোধ কি রাখবেন? এই ভালবাসা দিবসে কি মাত্র দু-ঘন্টা সময় আপনি আলাদা করবেন? কত সময় তো আমাদের কোন কারণ ছাড়াই কেটে যায়, দু-ঘন্টা সময় কি আপনি আলাদা করতে পারবেননা? এই দু-ঘন্টা সময়ে সামান্য টাকা নিয়ে একটু বের হবেন বাসা থেকে? একটু খোঁজে একজন পথশিশুকে ডেকে নিনতাকে খুব আদর করে তার নাম জানুন, সে কোথায় থাকে, কি করে এসব জিজ্ঞেস করার দরকার নেই প্রথমেইশুধু তাকে একটা ভাল রেস্টুরেন্টে নিয়ে যানসে যা খেতে চায় আপনার সামর্থ্য মত খাওয়ানতাকে নিয়ে যান কোন পার্কে, কোন নদীতে নৌকায় চড়তে নিয়ে যানতার সাথে ভাব করে তার জীবনের কাহিনী শুনেনতার কাঁধে হাত রাখেন, তার পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করেনদু-ঘন্টা সময় কাটানোর পর আপনি চলে আসতে পারেন তাকে রেখে

৮.
বাসায় এসে ঘুমানোর আগে রাতে একটু চিন্তা করুন, আপনি যে দুঘন্টা সময় তার সাথে কাটিয়েছেন তাতে কি আপনার ভাল লেগেছে? ভাল না লাগলে বা মনে যদি হয় এসব আপনার জন্য না তাহলে কোন কথা নেই, আপনি আপনার আগের মতই জীবন যাপন করুনআর যদি ভাল লাগে, তাহলে একটা কাজ করুনআপনি যে সিগারেট খান বা মাসে মাসে জিনস কিনেন বা টিউশানির টাকায় বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে যান বা প্রেমিকাকে গিফট দেওয়ার জন্য খরচ করেন সেখান থেকে কিছু টাকা মাসে মাসে বাচিয়ে পথশিশুটাকে কোন পথশিশুদের নৈশ-স্কুলে ভর্তি করে দেনতার মাসিক পড়ার খরচটা আপনিই দিবেন, তার খোঁজ খবর রাখবেনকল্পনা করুন আপনার সামান্য ত্যাগের জন্য তার জীবনটাই পরিবর্তন হয়ে গেলসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাশ করে উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হলচিন্তা করুন প্রতিবছর সে উপরের ক্লাসে উঠলে আপনার কতটুকু আনন্দ হবেএকটু চোখ বন্ধ করে দেখুন সে যদি এসএসসি পাশ করতে পারে আপনার চেয়ে বেশি সুখী কে হবে? সে যদি এইসএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তখন আপনার সুখের পরিমান হিসেব করে দেখুনএসবই সম্ভব যদি আপনি একটু স্যাক্রিফাইস করেনআপনি নিশ্চিত থাকেন আপনাকে সৃষ্টিকর্তা ঠকাবেননাআসুন আমরা এবার আমাদের জীবনটাকে একটু পরিবর্তন করিআসুন ভালবাসা দিবসে আমাদের শপথ হোক যে আমরা আমাদের জীবনে অন্তত একজন পথশিশুকে মানুষ করবযদি সারাজীবনে অন্তত ১জন মানুষের জীবন পরিবর্তন করতে না পারি, তাহলে আমাদের এই জীবনের কি মূল্য আছে? আমরা তো হাসিনা-খালেদাকে সারাজীবনে গালিগালাজ করলামকিছুই তো হলনাচলেননা আমরা নিজেরাই পরিবর্তন শুরু করে দিইনা, প্রথম আলোর স্লোগান সর্বস্ব "বদলে যাও, বদলে দাও" না, সত্যিকার অর্থেই শুধুমাত্র ১জন মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনিসারাজীবন সুখের পিছনে তো অনেক দৌড়ালাম, এবার নাহয় একটু ভিন্নদিকে চোখ দিইআমরা যদি নিজেরা শুধু ১জন পথশিশুর জীবন পরিবর্তন না করতে পারি তাহলে কোন মুখে হাসিনা-খালেদাকে সারাদেশের মানুসের জীবন পরিবর্তন না করতে পারার জন্য দোষ দিব? আসুন না, সারাজীবন তো ভালবাসা পাওয়ার জন্য হাহাকার করেছি, এবার একটু ভালবাসা দিয়ে দেখি?


৯.
আমার নানা বলতেন মানুষের জীবনের মূল্য নির্ভর করে সে কতটুকু স্মাইল-আওয়ার সংগ্রহ করেছে তার উপরস্মাইল-আওয়ার হচ্ছে আপনি আপনার সারাজীবনে কতটুকু মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছেন সেটাকে ঘন্টার এককে রুপান্তরিত করাযত বেশি স্মাইল-আওয়ার তত বেশি সফল আপনার জীবনযতবেশী স্মাইল-আওয়ার ততবেশি সুখ আপনারসুখের পিছনে তো অনেক ঘুরলাম, সুখ কি পেয়েছি? ক্ষনস্থায়ী সুখের পিছনে না ঘুরে এবার একটু চেষ্টা করে দেখি না লম্বা সময়ের সুখ পাই কিনাআপনি নাস্তিক হোন, আস্তিক হোন, মুসলমান হোন, খ্রীস্টান হোন, হিন্দু হোন যে কোন পর্যায়েরই হোন না কেন, সৃষ্টিকর্তা আপনাকে ঠকাবেননা, এটা আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, যদি আপনি অন্তত ১ জন মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করার জন্য মনস্থির করেনআসুন এবারের ভালবাসা দিবস হোক আমাদের জীবনদর্শন পরিবর্তন করার অংগীকারআসুন ভালবাসা ছড়িয়ে দিই সবখানে, কোন বিশেষ ব্যক্তিকেই ভালবাসার মুলে না রাখিযাদের ভালবাসার দরকার, চলুননা তাদেরকেই ভালবাসাটা দিইআসুন সময় থাকতে স্মাইল-আওয়ার সংগ্রহ করিআসুন সারাজীবন প্রতিযোগীতা করেছি সবার সাথে বিভিন্নভাবে, এবার স্মাইল-আওয়ার সংগ্রহের প্রতিযোগীতায় নামি সারাজীবনের প্রতিযোগীতায় অনেকে জিতেছি, অনেকে হেরেছিস্মাইল-আওয়ারের প্রতিযোগীতায় কারো হার নেই, সবাই জিতে যাবএর চেয়ে বড় সুখ আর কি হতে পারে? আসুন, আমরা এই শপথটা নিই, এই ভালবাসা দিবসেই আমরা প্রত্যেকে অন্তত সারাজীবনে একজন পথশিশুকে মানুষ করব এটাই হোক আমাদের এবার ভালবাসা দিবসের স্লোগান এবং এই স্লোগানই আমরা বুকে ধারণ করব

১০.
যারা প্রবাসে আছেন তাদের জন্য বলছিআমাদের অনেকেরই দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে থাকেআমাদেরকে দেশ এত বেশি দিয়েছে, আমরা দেশের জন্য কিছু করতে চাইব এটাই স্বাভাবিকঅনেক সংঘটন আছে যারা মাসে মাসে মাত্র ৫০(বা তারও কম) ডলারের বিনিময়ে দেশে একজন পথশিশুর বা গ্রামের গরীব শিশুর পড়ার ভার নিবেএসব সংঘটন আপনাকে প্রতিমাসেই ছেলের জন্য রিপোর্ট কার্ড ডিটেলসে পাঠায়আপনাকে কিছুই করতে হবেনা, যাস্ট প্রতিমাসে ক্রেডিটকার্ড থেকে ৫০ ডলার ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট করে দিলেই চলবে মাসে ফোনবিল বা সিগারেটবিল তো আমরা আরো অনেক বেশি দিই, একজন মানুষের জীবন পরিবর্তন করার জন্য কি এটুকু করতে পারবনা? অবশ্যই পারবইনশাআল্লাহ আমরা প্রত্যেকে যদি নিজেরাই সাধ্যমত চেষ্টা করি, আমাদের দেশ খুব শীঘ্রই মাথা তুলে দাড়াবে

আমার এক সিনিয়র আপু এই ওয়েবসাইটের ঠিকানা দিয়েছেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন